শীত অনুভূত হয় বেশি-সুস্থ থাকার কার্যকর উপায়

শীত অনুভূত হয় বেশি তাদের ; যারা শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। সময় অনেকেই অনুভব করেন যে তাদের অন্যদের তুলনায় বেশি শীত লাগে। এটি একাধিক শারীরিক এবং পরিবেশগত কারণের কারণে হতে পারে। শারীরিকভাবে, লোহিত রক্তকণিকার অভাব বা রক্তশূন্যতা অন্যতম প্রধান কারণ। শরীরে আয়রনের ঘাটতির ফলে রক্ত সঞ্চালন দুর্বল হয়ে যায়, যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে বাধা সৃষ্টি করে। একইভাবে, হাইপোথাইরয়েডিজম নামক এক সমস্যা, যেখানে থাইরয়েড হরমোনের অভাব ঘটে, শরীরের বিপাক ক্রিয়া কমিয়ে দেয় এবং শরীর ঠান্ডা অনুভব করে।

এছাড়াও, যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম, তাদের শরীরে পর্যাপ্ত চর্বি না থাকার কারণে শীত থেকে সুরক্ষার ঘাটতি দেখা যায়। পুষ্টির অভাবও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ এবং আয়রনের ঘাটতি শরীরকে ঠান্ডার প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তোলে। খারাপ রক্ত সঞ্চালন, যা ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার কারণে হতে পারে, শীতল অনুভূতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ক্লান্তি বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে ব্যাহত করে।

এ সমস্যাগুলোর প্রতিকারে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, যেমন আয়রন এবং ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ ডিম, মাংস, বাদাম ও পালং শাক শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। শীত থেকে সুরক্ষার জন্য স্তরযুক্ত উষ্ণ পোশাক পরিধান অত্যন্ত কার্যকর। শরীরকে সক্রিয় রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। শীতের সময় গরম চা, স্যুপ বা আদা চায়ের মতো পানীয় পান করা উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে।

ঠান্ডা পরিবেশ এড়িয়ে চলা, প্রয়োজনে হিটার ব্যবহার করা এবং উষ্ণ পরিবেশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যদি দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত শীত অনুভূত হয়, তবে থাইরয়েড এবং রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত যে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা নেই। সঠিক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে আপনার যদি শীত অনুভূত হয় বেশি এবং এটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হই  অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

One thought on “শীত অনুভূত হয় বেশি-সুস্থ থাকার কার্যকর উপায়

Comments are closed.